সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি, কালের খবর :
গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাইসুল ইসলাম বলেছেন, দেশের এক দশমাংশ ভুখন্ড পার্বত্যাঞ্চলের পাহাড়ি এবং বাঙ্গালীদের মাঝে অত্যন্ত সু-সসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন,
আসুন কোন ধরনের গুজবে কান না দিয়ে আমরা সকলে মনের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাই। সবাই মনের চোখ খোলা রাখলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই ভালো থাকবো আর এতে করেই পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসবে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে মাটিরাঙা জোনের আয়োজনে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসুচীর অংশ হিসাবে বিনামুল্য চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এরপরপরই দু:স্থ ও অসহায়দের মাঝে মানবিক সহায়তা ও বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় মাটিরাঙ্গার জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো: কামরুল হাসান পিএসসি, মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আলম, মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তৌফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান ও মাটিরাঙা উপজেলা নাগরিক নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি মো. নুরুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাটিরাঙ্গা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মাটিরাঙ্গা জোনের মেডিক্যাল অফিসার ক্যাপ্টেন মো. মুঈদ-উল করিম চৌধুরী, গুইমারা সিএমএইচ এর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন সুমাইয়া রহমান, এএমসি এবং দন্ত চিকিৎসক ক্যাপ্টেন আরিফুল ইমরান, এএমসি’র নেতৃত্বে ৩১০ জন পাহাড়ি উপজাতি নারী ও পুরুষ এবং ২৬৫ জন বাঙালি নারী ও পুরুষসহ ৫৭৫ জন অসহায় ও হত-দরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
এর আগে মাটিরাঙ্গা জোনের আওতাধীন এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ ছাতা, অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসা সহায়তা, সেলাই মেশিন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিশেষ মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে ঢেউটিন এবং শতাধিক দু:স্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাইসুল ইসলাম।
এরপরপরই মাটিরাঙ্গা জোনের আওতাধীন বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাইসুল ইসলাম। এসময় শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে মাটিরাঙ্গা জোনের আওতায় ৪টি পূজামন্ডপে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
কোন ধরণের গুজবে কান না দিয়ে বাঙ্গালী ও পাহাড়ীদের সকলকে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য আহবান জানিয়ে তিনি বলেন,
পার্বত্যাঞ্চলে সকলে নিশ্চিন্তে যে যার ধর্মীয় উৎসব উদযাপনে সেনাবাহিনী সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে।